বাংলাগেজেট রিপোর্ট : রাজধানীতে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। কোরবানীকে টার্গেট করে আড়তদাররা কৌশলে দাম বাড়িয়ে দেয়ায় কাচাবাজারে হু হু করে দাম বাড়ছে। তীব্র গরম আর বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম―এমন অজুহাতে মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা মরিচের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তীব্র গরম আর বৃষ্টির কারণে মরিচক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাস্তবে দেশের কোনো অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হয়নি। ছিটেফোটা বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমে জীবন অতিষ্ঠ। এমনকি বাজারে সরবরাহেও কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু ঠুনকো অজুহাতে ব্যবসায়ীও আড়তদাররা মিলে তিনগুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর হাতিরপুল, যাত্রাবাড়ি, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, রামপুরা এবং মগবাজার এলাকার কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে পর্যাপ্ত কাঁচা মরিচ থাকলেও চারশ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কম তাই আড়তে দাম বেশী। দেড় হাজার টাকা পাল্লা ( ৫কেজি) আড়ত থেকে কিনতে হচ্ছে।
জানা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ থেকে লাভ করার পর মরিচের দিকে ঝুকেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম এবং পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলায় উজানের ঢলে কিছুটা বন্যা আঘাত হেনেছে। বন্যার আশংকা থাকলেও তা কেটে গেছে। তবে ব্যবসায়ীরা কোরবানীকে সামনে রেখে পকেট কাটার লক্ষ্যে মরিচের দাম তিন/চারগুণ বৃদ্ধি করে কয়েকশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারায় লিপ্ত।
হাতিরপুল কাচা বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা মাহমুদ সাদেক বলেন, রাত পোহালেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম ৪০০ টাকায় উঠে গেছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা দরে কিনেছি। আজ বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে এসে দেখি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। দেখার কেউ নেই।’