spot_img
Friday, May 17, 2024
Homeলাইফ স্টাইলআবাসনবিআইডব্লিউটিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বাংলাগেজেট রিপোর্ট : নদীর সীমানা নির্ধারণ না করেই বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে বেআইনীভাবে বল প্রয়োগ করে সীমানা পিলার স্থাপনের চেষ্টা করছে। রাতের আধাঁরে তারা তড়িঘড়ি করে দলবল নিয়ে জমির মাটি সরিয়ে নিচ্ছে। কোথাও কৃষি নাল জমি, বসতবাড়ী আবার কোথাও ফিল্মী স্টাইলে বাণিজ্যিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারের কাছে মালামাল বিক্রি করছে। এ অবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লীজ গ্রহীতা জমি মালিকরা।
শনিবার ( ১৭ জুন) শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মো. মোকসেদ হোসেন, আলী আহমেদ টুটুল, আনু মাতবর ও রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা জানান, জমিতে থাকা পুরনো সীমানা পিলার বরাবর নতুন পিলার না বসিয়ে নদী থেকে ৬’শ-৮’শ মিটার ভেতরে লীজ গ্রহীতা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি গ্রাস করতে বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে পিলার স্থাপন করে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শণ করছে। গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দেয়া সীমানা নির্ধারণের সুপারিশপত্র থাকলেও যথাযথভাবে সীমানা নির্ধারণ না করেই ইচ্ছামাফিক ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে পিলার দিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকৃত শতাধিক কোটি টাকার সম্পদ ও মালামাল ধ্বংস করেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে বিনা নোটিশে এবং কোথাও বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্থাপনা বিনষ্ট করছে ও অবৈধভাবে মালামাল নিলামে তুলে বাণিজ্য চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে অর্ধশত কারখানা ও সেবাভিত্তিক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এ মূহুর্তে নাশকতাপূর্ণ আচরণে জমি মালিকরা অসহায়। এতে পরিবার নিয়ে পথে বসছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। জমির মালিকসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নাম ব্যবহারকারীরা স্থানীয় মাটি ও বালু সাপ্লাইয়ের প্রতিষ্ঠানের পেটোয়া বাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে। তারা মাটি-বালু উত্তোলন করে সেসব সাভার, আশুলিয়া ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন ইট ভাটায় সাপ্লাই করতে। পাশাপাশি স্থাপনা উচ্ছেদের কারণে শতাধিক কোটি টাকার লোহা, টিনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নামমাত্র মূল্যে নিজস্ব ঠিকাদার সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে আসছে। মহামান্য হাইকোটের আপিল বিভাগ এই অবৈধ উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আদেশ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের এই অপচেষ্টার কারণে রাজধানী ঢাকাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments